গণতন্ত্র কত প্রকার ও কী কী - গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি
প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হলো গণতন্ত্র কত প্রকার ও কী কী ও গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি। গণতন্ত্র কত প্রকার ও কী কী ও গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি তা সম্পর্কে জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটি পড়ুন। এই আর্টিকেলে গণতন্ত্র কত প্রকার ও কী কী ও গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
তো চলুন তাহলে গণতন্ত্র কত প্রকার ও কী কী ও গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি তা সম্পর্কে জেনে আসি। গণতন্ত্র কত প্রকার ও কী কী ও গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি তা সম্পর্কে আরো কিছু বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃগণতন্ত্র কত প্রকার ও কী কী এবং গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি তা জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
গণতন্ত্র বলতে কী বোঝায়
গণতন্ত্র শব্দটির ইংরেজি হলো Democracy। Democracy শব্দটি গ্ৰিক শব্দ Demos এবং kratia দুটি শব্দ মিলে তৈরি। Demos এবং kratia শব্দ দুটির অর্থ হলো যথাক্রমে জনগণ এবং শাসন। বিশ্বে সর্বপ্রথম গণতন্ত্র সৃষ্টি হয়েছিল গ্রীসের একটি ছোট শহর থেকে। যার নাম ছিল এথেন্স। গণতন্ত্র কাকে বলে class 5 এর বইয়ে কি বলা হয়েছে চলুন দেখে আসি।
গণতন্ত্র কাকে বলে class 5
গণতন্ত্র হলো কোনো জাতি-রাষ্ট্রের বা কোনো সংগঠনের এমন একটি শাসন ব্যবস্থা বা পরিচালন ব্যাবস্থা যেখানে নীতি নির্ধারণ বা সরকারি প্রতিনিধি নির্বাচনের সময় প্রত্যেকটি নাগরিকের সমান ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে। এবং সকল নাগরিকের অংশগ্রহণের সমান সুযোগ রয়েছে।
গণতন্ত্র শব্দটি শুনলেই আমরা মনে করি কোনো রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে এটি শুধু রাষ্ট্রের জন্যই নয় বরং যেকোনো সংস্থা বা সংগঠনের ক্ষেত্রেও হতে পারে। গণতন্ত্র বলতে কী বোঝায় ও গণতন্ত্র কাকে বলে class 5 এর বইয়ে কি বলা হয়েছে আশাকরি তা জানতে পেরেছেন।
গণতন্ত্র কত প্রকার ও কী কী
গণতন্ত্র ২ প্রকার। একটি হলো একশালী গনতন্ত্র এবং দ্বিতীয়টি হলো টাকশালী গণতন্ত্র। একশালী গণতন্ত্র টাকশালি ও গণতন্ত্র সম্পর্কে চলুন বিস্তারিত জেনে আসি।
একশালী গণতন্ত্র
যে গণতন্ত্রে ক্ষমতাসীন সরকার কৌশলে নিজের ইচ্ছা মতো ক্ষমতায় থাকতে পারে অর্থাৎ রাজতন্ত্রের মতো একতরফা শাসন পরিচালনা করতে সক্ষম তাকে একশালী গণতন্ত্র বলে।
টাকশালী গণতন্ত্র
এ ধরনের গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে দেশে বা দেশের জনগণের উন্নয়ন হোক বা না হোক সরকারের উন্নতি নিশ্চত। যেমন: এ ধরনের গণতন্ত্রে সরকার, মন্ত্রী, এমপি, আমলা সকলের ই বাড়ি, গাড়ি, ব্যাংক ব্যালেন্স রয়েছে প্রচুর। আর অপরদিকে সাধারণ জনগণের বাড়ি, গাড়ি সে তুলনায় কিছুই নেই।
গণতন্ত্র কত প্রকার ও কী কী তা আপনাকে বলা হয়েছে। গণতন্ত্র কত প্রকার ও কী কী আশাকরি তা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। গণতন্ত্র কত প্রকার ও কী কী তা ছাড়াও এরপর আরো জানতে পারবেন গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি।
গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য
গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এ পর্বে আমরা জানবো। গণতন্ত্র বলতে কী বোঝায় তা আগেই জেনেছি। গনতন্ত্র হলো এমন একটি শাসন ব্যবস্থা যা সকল সদস্যের সমান ভোটাধিকার থাকে। গনতন্ত্রের জনক হলো এরিস্টটল। যিনি গ্ৰিক বিজ্ঞানী ও দার্শনিক। যিনি প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চালু করছেন। আর, আধুনিক গণতন্ত্রের জনক হচ্ছে জন লক। চলুন জেনে নিই গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলো। গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য:
প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার
গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলির মধ্যে অন্যতম একটি হলো প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার। এটি বর্তমান গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বিশেষ করে আয়তনে বড় এবং ব্যপক জনসংখ্যা রয়েছে এমন দেশ গুলোতে প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার বা পরোক্ষ গনতন্ত্রের সৃষ্টি হয়েছে।
জনমতের প্রাধান্য
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সর্বদাই জনমতের প্রাধান্য দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে জনমতকে উপেক্ষা করা যায় না।
দায়িত্বশীল শাসন ব্যবস্থা
সরকার তার বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জনগণের কাছে দায়ী থাকবে।
বহুদলীয় ব্যবস্থা
গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক দল থাকে। জনগণের সর্বাধিক সমর্থন পাওয়া দলটি জয়লাভ করে।
আইনের শাসন
গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই আইনের চোখে সমান।
নির্বাচন ব্যবস্থা
এ ধরনের সমাজ ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি বাছাই করতে পারেন। এজন্য নির্বাচনকে গণতন্ত্রের বাহন বলা হয়।
স্বাধীন প্রচার মাধ্যম
স্বাধীন প্রচার মাধ্যমে স্বাধীনতা সুষ্ঠু জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি আশাকরি তা জানতে পেরেছেন। এইসকল বৈশিষ্ট্য গুলো গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় লক্ষ্য করা যায়। এ ধরনের শাসন ব্যবস্থায় জনগণ হলো রাস্ট্রের সকল ক্ষমতার উৎস। এরপর জানানো হবে গণতন্ত্রের মূল মন্ত্র কি।
গণতন্ত্রের মূল মন্ত্র কি
গণতন্ত্রের মূল মন্ত্র হলো জনগণ। একটি দেশের স্বার্থকে ধূলিসাৎ করার ক্ষমতা হলো জনগণের। সংবিধানে এই অধিকার কোনো সরকার বা রাজনৈতিক দলকে দেওয়া হয় না। কারণ এতে বিভিন্ন ধরনের মতানৈক্য থাকবে। এজন্য গণতন্ত্রের মূল মন্ত্র আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানো। গণতন্ত্রের মূল মন্ত্র কি আশাকরি তা জানতে পেরেছেন।গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভ কি কি
গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভ রয়েছে। এ পর্বে আমরা জানবো গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভ কি কি। গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভ কি কি তা হলো: কার্যনির্বাহী বিভাগ, নির্বাচিত প্রতিনিধি বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং সংবাদ মাধ্যম।
কার্যনির্বাহী বিভাগ
কার্যনির্বাহী বিভাগ প্রশাসন পরিচালনা করেন। সংবিধানে তাদের ক্ষমতা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তারা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হন।
নির্বাচিত প্রতিনিধি বিভাগ
এই বিভাগের কর্মকর্তারা জনগণের মাধ্যমে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচিত হন। এই বিভাগের কর্মকর্তারা সংবিধানের মূল কাঠামোর উপর ভিত্তি করে আইন প্রণয়ন করেন।
বিচার বিভাগ
দেশের আইন অনুযায়ী এরা দেশের সকল ধরনের বিচার কার্যসম্পাদন করেন।
সংবাদ মাধ্যম
এই বিভাগের কর্মকর্তাদের দ্বারা দেশের এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্তে সকল খবরাখবর পৌঁছে দেওয়া হয়।
শেষ কথা: গণতন্ত্র কত প্রকার ও কী কী - গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি
বন্ধুরা, এই ছিল আমাদের আজকের আর্টিকেল। এই আর্টিকেলে আপনাকে গণতন্ত্র কত প্রকার ও কী কী এবং গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। আশাকরি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন গণতন্ত্র কত প্রকার ও কী কী এবং গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি তা সম্পর্কে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আমাদের আজকের আর্টিকেল টি এই পর্যন্তই। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url