সূরা ওয়াকিয়াহ এর ফজিলত - মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ এর ফজিলত
মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ এর ফজিলত সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম। কারণ আজকে আমি আলোচনা করব মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ এর ফজিলত সম্পর্কে। তো চলুন তাহলে দেখে নেই মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ এর ফজিলত।

পেজ সূচিপত্রঃ মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ এর ফজিলত ছাড়াও আরো কিছু বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। যেমন: সূরা ওয়াকিয়ার ব্যাখ্যা ও সূরা ওয়াকিয়া পড়ার নিয়ম।
সূরা ওয়াকিয়াহ এর ফজিলত
সূরা ওয়াকিয়াহ মক্কায় অবতীর্ণ একটি সূরা। এই সূরাটি মক্কি সূরা গুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি কুরআনের ৫৬ তম সূরা। এই সূরাতে ৫৬ টি আয়াত ও ৩ টি রুকু রয়েছে।
এই সূরাটি অনেক ফজিলত পূর্ণ একটি সূরা। মাগরিবের পর এই সূরা পাঠ করার অনেক ফজিলত রয়েছে। পরবর্তী ধাপ গুলোতে আপনাকে জানানো হবে মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ এর ফজিলত।
তো বন্ধুরা মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ এর ফজিলত সম্পর্কে জানতে আমাদের আজকের আলোচনা টি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ এর ফজিলত
মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ এর ফজিলত সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন অনেকেই। মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ এর ফজিলত এই ধাপে জানতে পারবেন। মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ এর ফজিলত: আমাদের প্রিয় নবী সাঃ বলেছেন, " কোনো ব্যাক্তি যদি প্রতিদিন রাতে সূরা ওয়াকিয়াহ পাঠ করেন তবে ঐ ব্যাক্তিকে কখনোই দারিদ্রতা স্পর্শ করতে পারবে না।" (বায়হাকি শুআবুল ইমান: ২৪৯৮)
এই সূরা প্রতিদিন মাগরিবের পর পাঠ করলে কখনো ভবিষ্যতের রিযিক নিয়ে কাউকে চিন্তা করতে হবে না এবং ঐ ব্যক্তি আর্থিক ভাবে কখনোই পিছিয়ে পড়বেন না।
সূরা ওয়াকিয়ার ব্যাখ্যা
সূরা ওয়াকিয়ার ব্যাখ্যা জানতে চান? সূরা ওয়াকিয়ার ব্যাখ্যা জানতে এই ধাপটি পড়ুন। সূরা ওয়াকিয়ার ব্যাখ্যা:
সূরা ওয়াকিয়ার ব্যাখ্যা তে বলা হয়েছে আখিরাত, তাওহীদ, কুরআন ও মক্কার কাফেরদের প্রতিবাদের কথা। একসময় কেয়ামত আসবে। কেয়ামতের দিন পুরো পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। সবাই মরে যাবে। তারপর আবার সকল মানুষকে পুনরায় জীবিত করে তাদের কর্মের হিসাব নেয়া হবে। কেউ পাবে জান্নাত আবার কেউ পাবে জাহান্নাম। কিন্তু কাফেররা এসব কথা বিশ্বাস করবে না। তাদের কে এ সূরায় জবাব দেয়া হয়েছে যে, যখন এসব ঘটবে তখন এগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মতো ক্ষমতা কারো থাকবে না।
সূরা ওয়াকিয়ার ব্যাখ্যা তে ৫৭ থেকে ৭৪ আয়াত পর্যন্ত বলা হয়েছে আখিরাত ও তাওহীদের কথা। এই আয়াত গুলোতে আমাদের ঘুমন্ত বিবেককে জাগ্রত করার জন্য বলা হয়েছে যে আমরা আল্লাহর সৃষ্টির কারণে সৃষ্টি হয়েছি।
সূরা ওয়াকিয়ার ব্যাখ্যা তে ৭৫ আয়াত থেকে ৮২ আয়াত পর্যন্ত নিরসন করা হয়েছে আমাদের কুরআন নিয়ে যে সকল সংশয় রয়েছে তা সম্পর্কে। এই কুরআনে রয়েছে সকল নিয়ম নীতি, শৃঙ্খলা ও বিধান। যেই বিধান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে এসেছে।
সূরা ওয়াকিয়ার ব্যাখ্যা তে সর্বশেষে বলা হয়েছে যে আমরা সকল মানুষ ই মৃত্যু পথযাত্রী। কেবলমাত্র মৃত্যু ই আমাদের চোখ খুলে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। এবং মৃত্যুর পর আমাদের পরিণাম সম্পর্কেও বলা হয়েছে।
সূরা ওয়াকিয়া পড়ার নিয়ম
সূরা ওয়াকিয়ার ব্যাখ্যা তো জানলাম। এখন সূরা ওয়াকিয়া পড়ার নিয়ম কি তা কি জানেন? সূরা ওয়াকিয়া পড়ার নিয়ম এই ধাপে জানতে পারবেন। সূরা ওয়াকিয়া পড়ার নিয়ম:
এই সূরা পড়ার নিয়ম কঠিন কোনো বিষয় নয়। সূরা ওয়াকিয়া পড়ার নিয়ম খুব ই সহজ। সূরা ওয়াকিয়া পড়ার নিয়ম হলো ওযু সহকারে প্রতিদিন মাগরিবের নামাজের পর বিসমিল্লাহ পাঠ করে তারপর পড়তে হবে
শেষ কথা: সূরা ওয়াকিয়াহ এর ফজিলত - মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ এর ফজিলত
আপনি যদি চান আপনাকে কখনোই দারিদ্রতা স্পর্শ করতে না পারুক তাহলে অবশ্যই রোজ মাগরিবের নামাজের পর এই সূরা তেলাওয়াত করবেন। বন্ধুরা, এই ছিল আমাদের আজকের আর্টিকেল। আশাকরি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়াহ এর ফজিলত। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url