গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে করনীয়

গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে করনীয় গুলো প্রত্যেকটি গর্ভবতী মহিলার ই আগে থেকেই জেনে রাখা উচিত। বিশেষ করে যারা আগে থেকেই লো প্রেসারে ভুগছেন তাদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে করনীয় গুলো। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আজকে আমি আলোচনা করতে যাচ্ছি গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে করনীয় গুলো নিয়ে।

পেজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে করনীয় গুলোর পাশাপাশি আপনি এই আর্টিকেলে আরো জানতে পারবেন প্রেসার লো হলে কি খেতে হবে, গর্ভাবস্থায় প্রেসার কত থাকা উচিত? তা সম্পর্কে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

লো প্রেসার কি

সাধারণত রক্তচাপ পরীক্ষা করার সময় ২ টি পরিমাপ দেখা হয়। একটি হলো সিস্টোলিক রক্তচাপ এবং অপরটি হলো ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ। ওপরের টাকে সিস্টোলিক রক্তচাপ বলে এবং নিচের টাকে ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ বলে। রক্ত চাপের স্বাভাবিক মাত্রা হলো সিস্টোলিক রক্তচাপ ১২০ মিলি মিটার পারদের কম এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৮০ মিলি মিটার পারদের কম পর্যন্ত। 

সিস্টোলিক রক্তচাপ ৯০ মিলি মিটার পারদের কম এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৬০ মিলি মিটার পারদের কম হলে তাকে লো প্রেসার ধরা হয়। নিম্ন রক্তচাপ আসলে কোনো রোগ নয়। এটি হতে পারে কোনো রোগের উপসর্গ। 

এই আর্টিকেলে আপনি আরো জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে করনীয় কি তা সম্পর্কে। পরবর্তী ধাপেই বলা হবে গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে করনীয় কী।

গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে করনীয়

গর্ভাবস্থায় শুধু যে প্রেসার লো হবে এমন টা নয়। কারো কারো প্রেসার হাই হয়ে যায় আবার কারো কারো প্রেসার লো হয়ে যায়। দেখা যায় এ সময় ঠিক মতো অনেক মহিলার ই ঘুম হয় না। যার কারণে প্রেসার উঠা নামা করতে পারে। কারো কারো আবার দেখা যায় শুরুর দিকে প্রেসার লো থাকে আবার শেষের দিকে গিয়ে প্রেসার হাই হয়ে যায়। তো যাই হোক এই আর্টিকেলে গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে করনীয় গুলো কী তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। চলুন তাহলে দেখে নেই গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে করনীয়: 

  • প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে 
  • স্যালাইন‌ খাবেন 
  • এক্ষেত্রে কলা অনেক উপকারী হবে
  • আমের ঋতু হলে আম খাবেন 

যেহেতু গর্ভাবস্থায় প্রেসার যেকোনো সময় উঠা নামা করতে পারে তাই শুধু মাত্র লো প্রেসার ধরে বসে থাকবেন না। কিছু দিন পর পরই প্রেসার মাপবেন এবং সে অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাস গ্ৰহণ করবেন। কোনো খাবারে আপনার অ্যালার্জি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে তার বিকল্প হিসেবে অন্য কোনো খাবার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।

প্রেসার লো হলে কি খেতে হবে

আসলে হাই প্রেসার হলো সব দিক থেকেই একটু ঝুঁকিপূর্ণ। হাই প্রেসারে বিভিন্ন ঝামেলা রয়েছে। যেমন এটা খাওয়া যাবে না ওটা খাওয়া যাবে না। খেলেই প্রেসার বেড়ে রোগীর অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। আর অপরদিকে লো প্রেসার একেবারেই এর বিপরীত। এতে খাওয়া দাওয়ায় কোনো বাঁধা নেই। বরং আরো কিছু কিছু খাবার আছে যা লো প্রেসারে কে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে এনে দিতে পারে।

প্রেসার লো হলে কি খেতে হবে? তা মোটামুটি আমরা সবাই ই কম বেশি জানি। তারপরও যারা জানেন না যে প্রেসার লো হলে কি খেতে হবে? তাদের জন্য আমি আবার বলে দিবো প্রেসার লো হলে কি খেতে হবে: 

  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে 
  • ভাবের পানি বা যেকোনো ফলের রস 
  • স্যালাইন খেতে হবে
  • হাঁসের ডিম এক্ষেত্রে অনেক উপকারী
  • গরুর মাংস, গরুর কলিজা
  • মুরগির ডিম  
  • বাদাম 
  • কিসমিস 
  • যষ্টি মধু
  • পুদিনা পাতা
  • ভিটামিন বি কমপ্লেক্স জাতীয় খাবার
  • লবনাক্ত সামুদ্রিক মাছ 

গর্ভাবস্থায় প্রেসার কত থাকা উচিত

গর্ভাবস্থায় প্রেসার বাড়া কমার সমস্যা প্রায় নারীদেরই দেখা যায়। এজন্য তারা চিন্তিত থাকে। তাই তাদের কে অবশ্যই জানতে হবে গর্ভাবস্থায় প্রেসার কত থাকা উচিত?

গর্ভবতী নারীদের প্রেসার যেহেতু বার বার উঠা নামা করে তাই তাদের সপ্তাহে ২/৩ বার করে প্রেসার মাপতে হবে। আর আমাদের শরীরের স্বাভাবিক রক্তচাপ হলো ১২০/৮০ mmHg।

শেষ কথা: গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে করনীয়

তো বন্ধুরা, আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে করনীয় সম্পর্কে। আশাকরি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় প্রেসার লো হলে করনীয় সম্পর্কে। আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এবং আর্টিকেলের কোথাও কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আমাদের আজকের আর্টিকেল টি এই পর্যন্তই। ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url