চোখের পাওয়ার কমানোর উপায় - মায়োপিয়া কমানোর উপায়

চোখ আমাদের শরীরের একটি অপরিহার্য অঙ্গ। চোখের চোখের পাওয়ার কমানোর উপায় এবং মায়োপিয়া কমানোর উপায় কি আপনারা জানেন? চোখের পাওয়ার কমানোর উপায় বা চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার উপায় যদি আপনারা জানতে চান তাহলে নিচে পড়ুন। আজ আমরা চোখের পাওয়ার কমানোর উপায় এবং চশমার পাওয়ার + / - বোঝার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো।
পেজ সূচিপত্রঃ চোখের সমস্যা হলে শুষ্ক চোখ, ঝাপসা দৃষ্টি এবং মাথাব্যথার মতো লক্ষণগুলি অন্তর্ভুক্ত করে। চোখের পাওয়ার বেশি হলে তা কমানো উচিত আমাদের চোখকে ভালো রাখার জন্য। আজ এই পোস্ট থেকে আপনারা চোখের পাওয়ার কমানোর উপায় এবং চোখের স্বাভাবিক পাওয়ার কত তা জানতে পারবেন। চোখের পাওয়ার কমানোর উপায়

চোখের পাওয়ার কমানোর উপায়

একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে ৫৯% লোক যারা নিয়মিতভাবে কম্পিউটার এবং ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে তাদের চোখের কমে যাওয়ার লক্ষণগুলি অনুভব করে। এখানে ৫টি সহজ চোখের পাওয়ার কমানোর উপায় বা মায়োপিয়া কমানোর উপায় নিচে আলোচনা করা হল।

বেশি উজ্জ্বল আলো এড়িয়ে চলুন

উজ্জ্বল আলো তা হতে পারে প্রাকৃতিক সূর্য এর আলো বা বাল্ব যা চোখে এমন এক ঝলক তৈরি করতে পারে যা চোখের জন্য খুব খারাপ হতে পারে। এটা থেকে মুক্তি পেতে বা চোখের ঝাপসা দূর করার উপায় হিসেবে আপনি চশমা ব্যবহার করতে পারেন এবং কম তীব্রতার আলোর বাল্বগুলি ব্যবহার করুন।

আপনি যখন একটি কম্পিউটার ব্যবহার করেন তখন আপনার কম্পিউটার স্কিনের আলো খুব বেশি রেখে কাজ করবেন না। আলো স্বাভাবিক এর চেয়ে কম রাখুন। এছাড়াও যদি সম্ভব হয় আপনার কম্পিউটারের স্ক্রীনটি এমনভাবে রাখুন যাতে বাহিরের আলো কম্পিউটার স্কিনে পড়ে। তাহলে কম্পিউটারের ক্ষতিকর আলো সরাসরি আপনার চোখে পড়বে না এটা একটি ভালো চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার উপায় বা চোখের পাওয়ার বৃদ্ধি করার উপায়।

নীল আলো ব্লকিং চশমা ব্যবহার করতে পারেন

নীল আলো প্রাকৃতিকভাবে সূর্যের আলোতে পাওয়া যায় তবে আমাদের প্রতিদিনে ব্যবহার করা ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলি উচ্চ মাত্রার নীল আলো নির্গত করে। ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলি থেকে বের হওয়া নীল আলো গুলো আমাদের চোখের জন্য খুব খারাপ হতে পারে এবং এমনকি রাতে ঘুমের সমস্যা করতে পারে। 

নীল আলো-ব্লকিং চশমা ব্যবহার করে আপনার চোখে অতিরিক্ত নীল আলো যাওয়া আটকাতে পারেন। আপনি যখন আপনার কম্পিউটার, ট্যাবলেট, ফোন ব্যবহার করছেন এবং টিভি দেখছেন তখন নীল আলোর চশমা পরা চোখের পাওয়ার কমানোর উপায় বা চোখের ঝাপসা দূর করার উপায়  হতে পারে।

আপনার চোখের ব্যায়াম করুন

আপনি যদি অনেকক্ষণ কম্পিউটার স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকেন তাহলে আপনার চোখের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে কমপক্ষে প্রতি ২০ মিনিট কাজ করার পর কম্পিউটার থেকে দূরে তাকান এবং কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য। কাজ করতে করতে দূরের দিকে তাকালে চোখের পাওয়ার কমাতে সাহায্য করে এবং চোখের ভিতরে ফোকাসিং পেশী শিথিল হয়।

চোখের পাওয়ার কমানোর উপায় বা চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার উপায় এর আরেকটি ব্যায়াম হল ১০-১৫ সেকেন্ডের জন্য দূরে একটি বস্তুর দিকে তাকানো, তারপর আবার ১০-১৫ সেকেন্ডের জন্য কাছাকাছি একটা কিছুর দিকে তাকানো। তারপর দূরের বস্তুর দিকে আবার ফিরে তাকানো। এই কাজ টি ১০ বার করুন। এই দুটি ব্যায়ামই আপনার চোখের পাওয়ার কমানোর উপায় বা চোখের পাওয়ার বৃদ্ধি করার উপায় হতে পারে।

কাজ করার সময় বার বার চোখে পলক ফেলা

কম্পিউটারে কাজ করার সময় চোখের পলক ফেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ। চোখে শুষ্কতা এবং জ্বালা রোধ করতে চোখে ঘন ঘন পলক ফেলা আপনার চোখকে আর্দ্র করে। এছাড়াও স্ক্রিনের দিকে তাকানোর সময় ঘন ঘন চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন।

কাজ করার সময় যদি আমরা পলক না ফেলি তাহলে চোখের পানির আবরণ দ্রুত বাষ্পীভূত হয় এবং এর ফলে চোখ শুষ্ক হতে পারে। এছাড়াও অনেক জায়গার পরিবেশে বাতাস শুষ্ক যা আপনার চোখের পানি খুব দ্রুত শুকিয়ে ফেলতে পারে যা আপনার শুষ্ক চোখের সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। এই সমস্যা যদি আপনার হয় তাহলে তা দূর করতে ডাক্তারের উপদেশ নিয়ে চোখের ড্রপ ব্যবহার করে করতে পারেন।

নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করুন

অনেক চোখের পাওয়ার এবং দৃষ্টি সমস্যা খারাপ লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে। নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করা আপনাকে আপনার চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করতে পারে বা চশমার পাওয়ার + / - বোঝার উপায় বুঝতে সাহায্য করে। নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করলে আপনার চোখে যদি কোনো সমস্যা থাকে তা খুব তাড়াতাড়ি বোঝা যায় এবং কিভাবে তার চিকিৎসা করা যায় বা ভালো করা যায় সেই ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

চোখের পাওয়ার কমানোর উপায় - শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা চোখের পাওয়ার কমানোর উপায় ও চোখের স্বাভাবিক পাওয়ার কত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারি। বিভিন্ন কারণে আমদের চোখে সমস্যা হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে বেশি সময় কম্পিউটারে কাজ করা, বেশি সময় ফোন চালানো এবং এক দৃষ্টিতে উজ্জ্বল আলোর দিকে তাকিয়ে থাকা অথবা ঘুমের ঘাটতি।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url