পুরুষাঙ্গের যত্ন কিভাবে নিতে হয়

পুরুষাঙ্গ পুরুষের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পুরুষাঙ্গের যত্ন কিভাবে নিতে হয় তা বেশিরভাগ পুরুষ ই জানেন না। এই ধাপে আমরা জানবো পুরুষাঙ্গের যত্ন কিভাবে নিতে হয়। যারা জানতে চেয়েছেন পুরুষাঙ্গের যত্ন কিভাবে নিতে হয় তারা এই আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পেজ সূচিপত্রঃ তো চলুন তাহলে দেখে নেই পুরুষাঙ্গের যত্ন কিভাবে নিতে হয়। পুরুষাঙ্গের যত্ন কিভাবে নিতে হয় সে ব্যাপারে আরো কিছু তথ্য দেওয়া হবে। তাই এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে পুরো আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সাথেই থাকুন।

পুরুষাঙ্গের যত্ন কিভাবে নিতে হয়

অন্যান্য অঙ্গের যেরকম যত্নের প্রয়োজন হয়। ঠিক তেমনি পুরুষাঙ্গেরও যত্নের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বেশিরভাগ পুরুষ ই দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততার কারণে পুরুষাঙ্গ কে অবহেলা করে। এই অঙ্গের ও যে যত্নের প্রয়োজন পড়ে তা তারা বুঝে না। পুরুষাঙ্গের যত্ন কিভাবে নিতে হয়: 

  • পুরুষাঙ্গ সবসময় ঢেকে রাখা হয় বলে গরমে এই অঙ্গ ভিজে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকে। এজন্য সবসময় এই অঙ্গ শুকনো রাখার চেষ্টা করুন।
  • গোসল করার সময় সাবান দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করুন। এবং এরপর গামছা দিয়ে ভালো করে মুছুন।
  • যৌনাঙ্গ ও যৌনাঙ্গ সংলগ্ন এলাকা আরেকটু ভালো রাখার জন্য ইন্টিমেট ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে এই এলাকায় পি এইচ ৩.৫ বজায় থাকবে।
  • প্রয়োজনে পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। 
  • বেশি টাইট ফিট পোষাক পড়তে যাবেন না।
  • পুরুষাঙ্গের আশেপাশের চুল শেভ না করে কেটে ছোট করুন বা ইলেকট্রিক রেজার ব্যবহার করুন।
  • গরমে ঠান্ডা পানি দিয়ে পুরুষাঙ্গ পরিষ্কার করবেন।
  • পেস্ট করা শসা লাগিয়ে ৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। 

পুরুষাঙ্গের যত্ন কিভাবে নিতে হয় তাছাড়াও পুরুষাঙ্গের যত্ন খাবার ও পুরুষাঙ্গের ব্যায়াম এর মাধ্যমেও পুরুষাঙ্গের যত্ন নিতে পারেন। পুরুষাঙ্গের যত্ন খাবার ও পুরুষাঙ্গের ব্যায়াম সম্পর্কে পরবর্তীতে বলা হবে। 

পুরুষাঙ্গের যত্ন খাবার 

পুরুষাঙ্গের যত্ন খাবার এর মাধ্যমেও নিতে পারেন। পুরুষাঙ্গের যত্ন খাবার গুলো কয়েক প্রকারের রয়েছে। তো চলুন তাহলে পুরুষাঙ্গের যত্ন খাবার সম্পর্কে জেনে আসি। পুরুষাঙ্গের যত্ন খাবার: 

ডিম খুব ই একটি উপকারী খাদ্য। পুরুষাঙ্গের যত্ন খাবার হিসেবে ডিম সিদ্ধ কিংবা ভাজি যেমন ইচ্ছা খাওয়া যাবে। ডিম শরীরের হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও ডিম যৌন ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে থাকে। 

দৈনিক কিছু পরিমাণে রঙিন ফলমূল খাবেন। মিষ্টি আলুকে বলা হয় সেক্স ফুড। এটি সেক্স হরমোন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও কফি, ডার্ক চকলেট পুরুষাঙ্গের যত্ন খাবার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফ্যাট জাতীয় খাবার গুলোও বেশি পরিমাণে খাবেন। এগুলোও এক্ষেত্রে ভালো কাজ করবে। জিংক জাতীয় খাবার গুলো খাবেন। এগুলো যৌন ইচ্ছা বাড়াতে সাহায্য করবে। এরপর জানতে পারবেন লিংক কিভাবে বড় হয়, পুরুষাঙ্গের বিভিন্ন রোগ, সুস্থ পুরুষাঙ্গের বৈশিষ্ট্য। 

পুরুষাঙ্গের ব্যায়াম বা লিংক কিভাবে বড় হয়

সন্তান গ্রহণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো পুরুষাঙ্গ। বয়সন্ধিকাল এর পর থেকেই আস্তে আস্তে ছেলেরা তাদের পুরুষাঙ্গ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। পুরুষাঙ্গের ব্যায়াম এর মাধ্যমে পুরুষাঙ্গকে সুস্থ সবল এবং সাইজে কিছুটা বড় করা সম্ভব। কিন্তু পুরুষাঙ্গের ব্যায়াম কিভাবে করতে হয় বা লিংক কিভাবে বড় হয় তা অনেকেই জানেন না। পুরুষাঙ্গের ব্যায়াম: 

শেকিং 

লিঙ্গের গোড়ার দিকে দুই আঙ্গুল দিয়ে ধরুন। এরপর আস্তে আস্তে ঝাকানো শুরু করুন গতি বাড়িয়ে। এতে করে যদি ইরেকশন হয় তাহলে লিঙ্গ শিথিল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর আবার শুরু করুন। লিংক কিভাবে বড় হয় বা বড় করতে চাইলে এরকম ২০০ বার করুন।

জেল্কিং

এই ধাপে পেনিস টা ভালো করে ধুবেন। যাতে কোনো ধরনের ঘাম বা ময়লা না থাকতে পারে। এরপর জেল বা জেলের মতো কোনো তরল পদার্থ পেনিসে ভালো করে মাখিয়ে নিন। এরপর আপনার বুড়ো আঙুল দিয়ে তর্জনীর সাথে গোল করে পেনিসের গোঁড়াতে ধরুন। কিছুটা জোড়ে ধরে আস্তে আস্তে সামনের দিকে আনুন। এভাবে ৫০ বারের মতো করুন। 

স্ট্রেচিং 

লিঙ্গের মাথাটি হালকা করে ধরুন। এরপর শিথিল অবস্থাতেই সামনের দিকে টানুন। যতটুকু সম্ভব করুন। ২০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এমন করে। দৈনিক ২০ বার এভাবে করুন।  

পুরুষাঙ্গের ব্যায়াম গুলো করার সময় আপনার হস্তমৈথুন এর ইচ্ছা জাগতে পারে। কিন্তু কোনো মতেই আপনার ইচ্ছা কে পাত্তা না দিয়ে আপনি আপনার পুরুষাঙ্গের ব্যায়াম চালিয়ে যাবেন বা একটু অপেক্ষা করে আবার পুনরায় পুরুষাঙ্গের ব্যায়াম শুরু করবেন। 

আদর্শ পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য  

আদর্শ পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। অনেকেই মনে করেন যে তার পুরুষাঙ্গ ছোট। যা হয়তো বিপরীত লিঙ্গ পছন্দ করবেন না। কিন্তু না। বরং স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হলে নারীরা ব্যথা পেতে পারেন। বেশিরভাগ  নারীই যেকোনো সাইজের পুরুষাঙ্গ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকেন। আদর্শ পুরুষাঙ্গের একটি দৈর্ঘ্য রয়েছে। আদর্শ পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য: 

আদর্শ পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য হলো ৫.১ থেকে ৫.৯ ইঞ্চি। যদি পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য ২.৭৬ ইঞ্চির চেয়েও ছোট হয় তবে সেটা ছোট বলে গণ্য করা হবে।

সুস্থ পুরুষাঙ্গের বৈশিষ্ট্য 

কিভাবে বুঝবেন আপনার পুরুষাঙ্গ সুস্থ আছে। সুস্থ পুরুষাঙ্গের বৈশিষ্ট্য এর মাধ্যমে বুঝতে পারবেন যে আপনার পুরুষাঙ্গ সুস্থ আছে। অনেক সময় আমরা অনেকেই বুঝে উঠতে পারি না যে আমাদের পুরুষাঙ্গ সুস্থ আছে কিনা। পুরুষাঙ্গ সুস্থ আছে কিনা তা বোঝার জন্য এখন আমি আপনাকে সুস্থ পুরুষাঙ্গের বৈশিষ্ট্য গুলো বলবো। সুস্থ পুরুষাঙ্গের বৈশিষ্ট্য: 

  • স্বাভাবিক অবস্থায় সুস্থ পুরুষাঙ্গ ৩.৬ ইঞ্চি আকারের। এবং খাড়া অবস্থায় ৫.২ ইঞ্চি। 
  • এই অঙ্গের মাথা দেখতে খোসা বিহীন সুপারির মতো। 
  • এর সামনের অংশে একটি ছিদ্র থাকে যা সময় ও অবস্থা ভেদে প্রস্রাব ও বীর্য দুটি ই বের হয়।  
  • ব্যাক্তির মন মানসিক অবস্থা ভালো থাকা। 
  • বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করাও সুস্থ পুরুষাঙ্গের বৈশিষ্ট্য। 

পুরুষাঙ্গের বিভিন্ন রোগ 

পুরুষাঙ্গের বিভিন্ন রোগ রয়েছে। পুরুষাঙ্গের বিভিন্ন রোগ গুলো কী তা আমারা অনেকেই জানি না। পুরুষাঙ্গের বিভিন্ন রোগ: 

  • গনোরিয়া 
  • প্রিয়াপিজম
  • পেনিস ক্যান্সার 
  • বেলানাইটিস
  • ইরেকটাইল ডইসফাংশন 
  • পেয়রানিইস ডিজিস 
  • থ্রম্বোসিস 
  • ইজাকুলেশন 

শেষ কথা: পুরুষাঙ্গের যত্ন কিভাবে নিতে হয়

বন্ধুরা, আমাদের আজকের আর্টিকেল টি এই পর্যন্তই। এই আর্টিকেলে আপনাকে জানানো হয়েছে পুরুষাঙ্গের যত্ন কিভাবে নিতে হয় সম্পর্কে। আশাকরি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। আমাদের এই আর্টিকেলে টি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আজ আর নয়। ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url